ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও কানাডার মতো নিউজিল্যান্ডও জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফিলিস্তিনিকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারে বলে ধারণা হয়েছিল।
তবে দেশটি তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেছে, নিউজিল্যান্ড এই মুহূর্তে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে না, তবে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের প্রতি দেশটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স বলেন, “তীব্র যুদ্ধের মধ্যে, হামাস গাজার কার্যত সরকার হিসেবে রয়ে গেছে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে কোনো স্পষ্টতা না থাকায় ফিলিস্তিনের ভবিষ্যত রাষ্ট্র সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন রয়ে গেছে। তাই নিউজিল্যান্ডের পক্ষে এই মুহূর্তে স্বীকৃতি ঘোষণা করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা আরো উদ্বিগ্ন যে, বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বীকৃতির উপর জোর দেওয়া হলে, ইসরায়েল এবং হামাসকে আরো বেশি একগুঁয়ে অবস্থানে ঠেলে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা জটিল হতে পারে।”
রয়টার্স বলছে, নিউজিল্যান্ডের এই অবস্থান দেশটির ঐতিহ্যবাহী অংশীদার অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। দেশগুলো গত রবিবার ফিলিস্তিনি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও যুক্তরাজ্য জাতিসংঘের ১৪০টিরও বেশি দেশের সঙ্গে একত্রিত হয়েছে, যারা অধিকৃত অঞ্চল থেকে একটি স্বাধীন আবাসভূমি গঠনের ফিলিস্তিনিদের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে।
শুক্রবার নিউজিল্যান্ড সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “নিউজিল্যান্ড এমন এক সময়ে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার আশা করছে, যখন বর্তমান পরিস্থিতি শান্তি ও আলোচনার জন্য আরো বেশি সম্ভাবনা তৈরি করবে।”
নিউজিল্যান্ডের বিরোধী দল লেবার পার্টি সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছে, এটি দেশকে ইতিহাসের ভুল দিকে ঠেলে দেবে।
লেবার পার্টির বিদেশ বিষয়ক মুখপাত্র পিনি হেনারে বলেন, “সরকারের এমন সিদ্ধান্তে পুরো নিউজিল্যান্ড আজ হতাশ।” তার মতে, “ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি না দিলে মধ্যপ্রাচ্যে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান বা স্থায়ী শান্তি সম্ভব নয়।”
