জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আজ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ২০তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।
এদিন ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমের শুরুতেই ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের (আপ বাংলাদেশ) আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদকে জেরা করবেন আসামিদের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। এরপর নতুন সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়া হবে। প্রসিকিউশন ইতোমধ্যে আরও তিনজন সাক্ষী উপস্থাপনের আবেদন করেছে।
গতকাল ২১ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত জুনায়েদের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। এরপর স্টেট ডিফেন্স আইনজীবীর জেরা অসম্পূর্ণ থাকায় তা আজ পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
শেখ হাসিনার মামলায় ৪৮তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন জুনায়েদ। তিনি ২০১৩ সালের কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। একই দিনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকেও দ্বিতীয় দিনের মতো জেরা করা হয়।
এর আগে, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি জানান, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশেই গত বছরের জুলাই-আগস্টে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত ১০ জুলাই এ মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করার নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশন মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে, যার সঙ্গে রয়েছে আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার নথিপত্র ও ৮১ জন সাক্ষীর তালিকা।
সাক্ষ্যগ্রহণে উঠে আসা বিবরণে বলা হয়েছে, গত বছরের জুলাই-আগস্টে আন্দোলনের সময় দেশজুড়ে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
