অনেক নাটকীয়তার পর এশিয়া কাপের সুপার ফোরে জায়গা করে নেওয়া বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় দিয়ে শুরু করেছে। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে লঙ্কানদের ৭ উইকেটে ১৬৮ রানে থামিয়ে ১ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয় টাইগাররা।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা শ্রীলঙ্কা শুরুটা আক্রমণাত্মক করলেও বাংলাদেশকে সুযোগ দিয়েছিল একাধিক ক্যাচ মিসের কারণে। ওপেনিং জুটি মাত্র ৫ ওভারে তোলে ৪৪ রান। ২২ রানে নিশানকাকে ফিরিয়ে প্রথম আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ। এরপর মাহেদি হাসানের স্পিনে থামেন মেন্ডিস (৩৪) ও মিশরাক (৫)। মুস্তাফিজ ফিরিয়ে দেন কুশল পেরেরাকে (১৬)।
৯৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। তবে মাঝের ধাক্কা সামলে দলকে লড়াকু স্কোর উপহার দেন অধিনায়ক দাসুন শানাকা। তিনি ৩৭ বলে ৩ চার ও ৬ ছক্কায় অপরাজিত ৬৪ রান করেন। তবে অন্য প্রান্ত থেকে সঙ্গ মেলেনি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৮ রানে থামে লঙ্কানদের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে মুস্তাফিজ নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট।
১৬৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান তামিম শূন্য রানে ফিরলে চাপ আসে টাইগারদের ওপর। সেই চাপ সামলে সাইফ হাসান ও লিটন দাস গড়েন ৫০ রানের জুটি। তবে ২৩ রানে লিটনের বিদায়ের পর দায়িত্ব নেন সাইফ ও তাওহীদ হৃদয়।
সাইফ তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক। ৪৫ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। অন্যদিকে ফিল্ডিংয়ে দুইবার ক্যাচ মিস করা হৃদয় ব্যাট হাতে পুষিয়ে দেন। ৩১ বলে ফিফটি পূর্ণ করার পর ৩৭ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫৮ রান। এর মধ্য দিয়ে তিনি বাংলাদেশের অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে হাজার রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেন।
শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ছিল ১২ রান। সহজ সমীকরণ জটিল হয়ে ওঠে শেষ ওভারে। প্রথম বলেই জাকের আলী বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ সমতায় আনলেও পরপর দুই বলে আউট হয়ে ফেরেন জাকের ও শেখ মেহেদি। তখন ম্যাচে রোমাঞ্চ চরমে ওঠে। শেষ দুই বলে দরকার ছিল ১ রান। নাসুম আহমেদ শান্তভাবে স্ট্রাইক বদল করে সেই রান তুলে দলকে এনে দেন কাঙ্ক্ষিত জয়।
ফলে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসে বাংলাদেশ।
