আরিফ হোসেন খান জানান, সভায় ইসলামী ধারার পাঁচটি ব্যাংক একীভূত করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ অনুযায়ী প্রতিটি ব্যাংকে একাধিক সদস্যের সমন্বয়ে অস্থায়ী প্রশাসক দল নিয়োগ করা হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে একীভূত করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ইসলামী ধারার পাঁচটি ব্যাংককে একীভূত করার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ অনুযায়ী প্রতিটি ব্যাংকে একাধিক সদস্যের সমন্বয়ে অস্থায়ী প্রশাসক দল নিয়োগ দেওয়া হবে।
এ সভায় আরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার-১৯৭২ এর (২০২৫) সংশোধিত খসড়ায়। পাশাপাশি খসড়াটি উপদেষ্টা পরিষদে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। পরিচালনা পর্ষদের এক সদস্য জানান, আগের খসড়ার কাঠামো বহাল থাকলেও কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। যেমন: দুইজন ডেপুটি গভর্নরের জায়গায় একজন রাখা হয়েছে এবং স্বতন্ত্র পরিচালক পদ বাড়িয়ে ছয়টি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংককে একীভূত করে নতুন একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক গঠন করা হবে। সম্ভাব্য নাম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংক’।
তথ্য অনুযায়ী, এই পাঁচ ব্যাংকের ঋণের ৪৮ থেকে ৯৮ শতাংশই বর্তমানে খেলাপি। একীভূতকরণের জন্য প্রয়োজন হবে প্রায় ৩৫ হাজার ২০০ কোটি টাকা, যার মধ্যে সরকার দেবে ২০ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, ফার্স্ট সিকিউরিটি, ইউনিয়ন, গ্লোবাল ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল। আর এক্সিম ব্যাংক নিয়ন্ত্রণে ছিল নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের।
