অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নতুন বেতনকাঠামো অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদেই গেজেট আকারে কার্যকর করা হবে। তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ রাখা হবে, যাতে নতুন পে স্কেল আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিল থেকে বাস্তবায়ন করা যায়।
নতুন কাঠামোর সুপারিশ তৈরি করতে সরকার ২৪ জুলাই ২৩ সদস্যের জাতীয় বেতন কমিশন গঠন করেছে। কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খান। কমিশন ডিসেম্বরের মধ্যেই সুপারিশ জমা দেবে।
বর্তমান বেতন কাঠামোতে সর্বোচ্চ পদ (গ্রেড-১) ও সর্বনিম্ন পদ (গ্রেড-২০)-এর বেতনের অনুপাত প্রায় ১০:১। নতুন কাঠামোয় এই অনুপাত ৮:১ থেকে ১০:১-এর মধ্যে রাখা হবে। পাশাপাশি চিকিৎসা, শিক্ষা ও অন্যান্য ভাতাও বৃদ্ধি পাবে।
জাতীয় বেতন কমিশন অনলাইনে মতামত গ্রহণ শুরু করেছে। চারটি ক্যাটাগরিতে প্রস্তুত প্রশ্নমালায় সরকারি চাকরিজীবী, সাধারণ নাগরিক, সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং অ্যাসোসিয়েশন বা সমিতির সদস্যরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এই প্রশ্নমালা আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত কমিশনের ওয়েবসাইটে (paycommission2025.gov.bd) পাওয়া যাবে।
কমিশন সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি মঞ্জুরিপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পর্যালোচনা করে সরকারের কাছে সুপারিশ দেবে। তবে শ্রমিকদের বিষয়টি জাতীয় বেতন কমিশনের বাইরে রাখা হয়েছে।
বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ২০১৫ সালের পে স্কেল অনুযায়ী ২০টি গ্রেডে বেতন-ভাতা পান।
