ভারতের উত্তরপ্রদেশে ভোটার তালিকায় অবিশ্বাস্য ধরনের গরমিল ধরা পড়েছে। মহোবা জেলার জৈতপুর গ্রামপঞ্চায়তে মাত্র ১৬ বাই ১৫ ফুটের একটি ভাঙাচোরা ঘরে ৪ হাজার ২৭১ জন ভোটারের নাম নিবন্ধিত হয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই গ্রামজুড়ে বিস্ময় ছড়িয়ে পড়েছে এবং নির্বাচন কমিশনের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) মুসলিম মিরর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ভোটার তালিকা সংশোধনের সময় আবিষ্কৃত এই গরমিলের ফলে দেখা যাচ্ছে—জৈতপুরের মোট ১৬ হাজার ৬৯ জন ভোটারের প্রায় এক-চতুর্থাংশই কাগজে-কলমে ওই ছোট্ট ঘরের বাসিন্দা। বাড়ির মালিক প্রথমে বিষয়টি শুনে মজা ভেবেছিলেন। তিনি বলেন, “আমরা নিজেরাই কষ্টে থাকি, এখন নথিতে দেখা যাচ্ছে পুরো গ্রাম নাকি আমাদের বাড়িতে থাকে।”
কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা
কর্মকর্তারা অবশ্য বিষয়টিকে ‘ক্লারিক্যাল ভুল’ বলে দায় এড়াচ্ছেন। তাদের দাবি, তিনটি ওয়ার্ডের নাম ভুলবশত একই ঠিকানার সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে। সহকারী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আর.পি. বিশ্বকর্মা বলেন, “গ্রামে ঘরের নম্বর ঠিকভাবে ব্যবহার হয় না। ভোটাররা আসল, শুধু ঠিকানায় গড়মিল হয়েছে।”
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কুনওয়ার পঙ্কজ সিংও স্বীকার করেছেন যে ২০২১ সালেও একই ধরনের সমস্যা হয়েছিল। এবারও সংশোধন প্রক্রিয়া চলছে।
অন্যান্য জায়গাতেও অনিয়ম
শুধু জৈতপুর নয়, পানওয়ারি শহরের এক বাড়িতে ২৪৩ ভোটার এবং পাশের বাড়িতে ১৮৫ জন ভোটারের নাম পাওয়া গেছে। স্থানীয় কর্মী চৌধুরী রবীন্দ্র কুমার অভিযোগ করে বলেন, “এটা ছোট ভুল নয়; যখন একটি দলিত পরিবারের ঘরে শত শত ভোটারের নাম ঠাসা থাকে, তখন সেটা মানুষের আস্থা নষ্ট করে।”
