ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬.৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৪০ জনেরও বেশি মানুষ। ধসে পড়া ভবনগুলোতে উদ্ধারকাজ চলমান থাকায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার কিছু আগে (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৮টা) ভিসায়াস অঞ্চলের সেবু প্রদেশের বোগো সিটির উপকূলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এতে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয় এবং একাধিক ভবন ধসে পড়ে। ধ্বংস হওয়া স্থাপনার মধ্যে শত বছরেরও বেশি পুরোনো একটি গির্জাও রয়েছে।
জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র সেবু প্রদেশে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উত্তর সেবু। সেখানকার সান রেমিজিও শহরকে জরুরি সহায়তা কার্যক্রম চালাতে ‘দুর্যোগ এলাকা’ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
সান রেমিজিও শহরের সহকারী মেয়র আলফি রেইনেস জানান, বন্যার মধ্যে বিদ্যুৎ নেই, পানির সরবরাহ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে। তিনি খাদ্য, পানি ও ভারী যন্ত্রপাতি দ্রুত পাঠানোর জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন।
ভূমিকম্পে কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি বোগো সিটিতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। হাসপাতালের রোগীদের সরিয়ে নেওয়া হয় এবং আফটারশকের কারণে অনেক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র বা খোলা রাস্তায় অবস্থান করছেন।
ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল প্রায় ১০ কিলোমিটার। ইতিমধ্যে একাধিক আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালীটির মাত্রা ছিল ৬। তবে সুনামির কোনো আশঙ্কা নেই।
প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’ অঞ্চলে অবস্থিত ফিলিপাইন প্রায়ই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মুখোমুখি হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশটিতে দুটি বড় ভূমিকম্প হলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। আর ২০২৩ সালে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে আটজন প্রাণ হারিয়েছিলেন।
