Home রাজনীতিনরসিংদীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবদল নেতা নিহত

নরসিংদীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবদল নেতা নিহত

by Akash
০ comments

নরসিংদী সদর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের আলোকবালীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাদেক মিয়া (৪২) নামে এক যুবদল নেতা নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরও অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত সাদেক মিয়া ছিলেন আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা কাইয়ুম গ্রুপের সমর্থক। তিনি মুরাদনগর গ্রামের বাসিন্দা এবং ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ছিলেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই সদর উপজেলার চরাঞ্চল আলোকবালীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক শাহ আলম চৌধুরী গ্রুপ এবং বহিষ্কৃত সদস্য সচিব মো. কাইয়ুম গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল।

এই দ্বন্দ্বের জেরেই সোমবার ভোরে শাহ আলম সমর্থিত একটি গ্রুপ নদীপথে মুরাদনগর গ্রামে হামলার উদ্দেশ্যে আসার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে কাইয়ুমের সমর্থকরা তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে দু’পক্ষের মধ্যে গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাদেক মিয়াসহ ১০ জন আহত হন।

আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাদেক মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।

সংঘর্ষে আহত অন্যরা হলেন এবাদুল মিয়া (২২), হানিফা (৫০), ওমর ফারুক (৩৮), ফারুক মিয়া (৩২), রমজান (৩২), মুরাদ (২৩), আবু বক্কর (২৫), সুলতান (৫০) ও হোসাইন (২৫)। তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় পাঁচজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নরসিংদী পুলিশ সুপার মো. মেনহাজুল আলম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগেও একই ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুইপক্ষের পৃথক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ইদন মিয়া এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ফেরদৌসী বেগম নামে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। সব মিলিয়ে এই দ্বন্দ্বের কারণে এ পর্যন্ত তিনজন নিহত এবং কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।

You may also like

Leave a Comment