Home আন্তর্জাতিকট্রাম্পের গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব — হামাসকে তিন-চার দিন সময়, বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া

ট্রাম্পের গাজা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব — হামাসকে তিন-চার দিন সময়, বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া

by Akash
০ comments

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি যে গাজা যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা দিয়েছেন, সে বিষয়ে হামাসের কাছে সিদ্ধান্ত নিতে তিন থেকে চার দিন সময় আছে। তিনি দাবি করেছেন, ইসরায়েলি ও কিছু আরব নেতা ইতোমধ্যে এই পরিকল্পনায় সম্মত হয়েছেন। খবর আল জাজিরার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে।

প্রস্তাবের মূল বিষয়গুলো

  • তাত্ক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা।
  • হামাসের হাতে ধরা ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের ধাপে ধাপে মুক্তি।
  • হামাসকে নিরস্ত্র করতে হবে এবং গাজায় ধাপে ধাপে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে।
  • একটি ‘অস্থায়ী আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী’ মোতায়েনের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও
  • আরব ও আন্তর্জাতিক অংশীদাররা এতে অংশ নেবে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ আছে।
  • গাজার শাসনে হামাস কোনো ভূমিকা পালন করবে না; যারা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে রাজি হবে তাদের সাধারণ ক্ষমা প্রদান এবং যারা গাজা ছাড়তে চায় তাদের নিরাপদে চলে যাওয়া নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি থাকবে।
  • গাজায় একটি অন্তর্বর্তীকালীন টেকনোক্র্যাট সরকার সেবাদান করবে; বাস্তুচ্যুতদের ফিরে আসার নিশ্চয়তা এবং গাজার মানুষকে উচ্ছেদ না করার প্রতিশ্রুতিও প্রস্তাবে আছে।

ট্রাম্প হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সাংবাদিকদের বলেছেন, হামাস যদি প্রস্তাব মেনে না নেয় “তবে তা অত্যন্ত দুঃখজনক সমাপ্তি বয়ে আনবে।” তিনি বলেন, প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ “খুব বেশি নয়”। ট্রাম্প ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন, যিনি ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়ে এই পরিকল্পনায় সম্মতি জানিয়েছিলেন বলে ট্রাম্পের বক্তব্যে বলা হয়।

ইসরায়েল ও গাজার দুই বছরের সংঘর্ষে ফিলিস্তিনে প্রাণহানির সংখ্যা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে; প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মৃতসংখ্যা ৬৬ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মানবিক সংকট তীব্র। আল জাজিরা জানায়, গাজা সিটিতে বিস্ফোরণ প্রতিমিনিটে হচ্ছিল এবং ইসরায়েলের স্থল অভিযান সম্প্রসারিত হচ্ছে — এতে ত্রাণপ্রার্থীরা, নাগরিক ও সাংবাদিকরাও নিহত হয়েছেন বলে খবরে বলা হয়েছে।

প্রতিক্রিয়া ও আশঙ্কা

  • কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে, হামাস প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করছে; কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন — পরিকল্পনার কিছু দিক পরিষ্কারকরণ ও আলোচনা প্রয়োজন।
  • ফাতাহ প্রচেষ্টাটিকে স্বাগত জানালেও তাদের এক নেতা এটিকে ‘আত্মসমর্পণের দলিল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন—তার মতে এটি মানলে অপমান স্বীকার করা এবং ফিলিস্তিনিদের ঐক্য ভেঙে পড়বে।
  • জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস পরিকল্পনাকে স্বাগত জানালেও তার মুখপাত্র বলেছে, অগ্রাধিকার হওয়া উচিত মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে।
  • বিশ্লেষকরা লক্ষ্য করেছেন, প্রস্তাবের ঘোষণার ভাষা–কৌশল ও সময়ভিত্তিক হুমকি জাতীয়তাবাদী ও আল্টিমেটামসুলভ দিক ধারণ করছে; কিছু বিশ্লেষক এটিকে হামাসের জন্য অনর্থক ও গ্রহণযোগ্য নয় বলেও মন্তব্য করেছেন। কাতারের এক বিশ্লেষক বলেছেন, “হামাসকে শুরুতেই তাদের ক্ষমতা ত্যাগ করতে বলা হবে—এটি বাস্তবসম্মত নয়।”

উল্লেখ্য, প্রস্তাবটি সম্পর্কে আল জাজিরার প্রতিবেদনকে উৎস হিসেবে নেওয়া হয়েছে।

You may also like

Leave a Comment