Home আন্তর্জাতিকক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী অলির প্রশ্ন: নেপাল পুলিশের স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নেই, বিক্ষোভে গুলি ছুড়ল কারা?

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী অলির প্রশ্ন: নেপাল পুলিশের স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নেই, বিক্ষোভে গুলি ছুড়ল কারা?

by Akash
০ comments

নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে তরুণদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে রক্তাক্ত হওয়ার পর থেকে দেশজুড়ে ভয়াবহ সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ১৯ জন নিহত হওয়ার পর ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি পদত্যাগে বাধ্য হন। তবে এবার তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, নেপাল পুলিশের কাছে কোনো স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নেই, তাহলে বিক্ষোভে গুলি ছুড়ল কারা?

শুক্রবার নেপালের সংবিধান দিবসে ফেসবুকে দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টে অলি দাবি করেন, এ সহিংসতা কোনো সাধারণ আন্দোলন নয়, বরং একটি ‘বিকৃত কাল্পনিক বিবৃতি’ দ্বারা ইন্ধন জোগানো হয়েছে। এর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে ভুল পথে পরিচালিত করা হয়েছে এবং জাতিকে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা হয়েছে।

তিনি লিখেছেন— “আজ আমি ষড়যন্ত্রের সব কিছু বলব না, তবে অনেক কিছুই নিজেই বিবৃতি দেবে। আমাদের দেশ কি গড়ে উঠছিল নাকি ধ্বংস হচ্ছিল? একটি বিকৃত কাল্পনিক গল্প দাঁড় করিয়ে কি ক্ষোভকে উসকে দেওয়া হয়নি? নতুন প্রজন্ম নিজেরাই তা বুঝতে পারবে।”

অলি অভিযোগ করেন, গত সপ্তাহে যে বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ হওয়ার কথা ছিল, সেখানে ষড়যন্ত্রকারীদের অনুপ্রবেশ ঘটে। তারা সহিংসতা তৈরি করে এবং যুবকদের হত্যা করে। পুলিশের কাছে যেসব অস্ত্র নেই, সেই স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়েই গুলি চালানো হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এ ঘটনার স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানান সাবেক প্রধানমন্ত্রী।

পদত্যাগের পর দেশজুড়ে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও ধ্বংসযজ্ঞের কথাও তুলে ধরেন অলি। তার ভাষায়,
“আমার পদত্যাগের পর সিংহ দরবার (পার্লামেন্ট) জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। নেপালের মানচিত্র পুড়িয়ে জাতীয় প্রতীক মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। জনগণের প্রতিনিধি সংস্থা, আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক কার্যালয় ও নেতাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”

নিজের বার্তায় নেপালের সব প্রজন্মের নাগরিকদের উদ্দেশে অলি আহ্বান জানান সংবিধান রক্ষা ও জাতীয় সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার।

পদত্যাগের পর ব্যাপক সহিংসতার মধ্যে অলি আত্মগোপনে চলে যান। সে সময় তার দেশত্যাগের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। তবে পরবর্তীতে জানা যায়, সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে তাকে নিরাপত্তার জন্য রাজধানী কাঠমান্ডুর উত্তরের শিবপুরী জঙ্গলে অবস্থিত এক সামরিক ব্যারাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে ৯ দিন কাটানোর পর তিনি ব্যক্তিগত বাসভবনে ফিরে যান।

বর্তমানে নেপালের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত অস্থিতিশীল। বিক্ষোভের রেশ কাটতে না কাটতেই অলির এমন অভিযোগ নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, আসন্ন সময়ে এই অস্থিরতা নেপালের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আরও বড় সংকট ডেকে আনতে পারে।

সূত্র: ইয়ন

You may also like

Leave a Comment