ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, আকাশপথে রাতভর রাশিয়ার ব্যাপক হামলায় তার দেশে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩০ জনের বেশি মানুষ। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) টেলিগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনজুড়ে বিভিন্ন অঞ্চলে শিয়া প্রায় ৫৮০টি ড্রোন ও ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এসব হামলার লক্ষ্য অবকাঠামো, বেসামরিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আবাসিক এলাকা বলে দাবি করেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
এক আবাসিক ভবনে সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথাও জানান জেলেনস্কি। তিনি এসব হামলাকে ‘নাগরিকদের ভয় দেখানো এবং আমাদের অবকাঠামো ধ্বংসের উদ্দেশ্যে একটি ইচ্ছাকৃত কৌশল’ হিসেবে বর্ণনা করেন।
পোস্টে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানান, রাশিয়া ইউক্রেনের দিনিপ্রোপেট্রোভস্ক, মাইকোলাইভ, চেরনিহিভ, জাপোরিঝঝিয়া, পোলতাভা, কিয়েভ, ওদেসা, সুমি ও খারকিভ অঞ্চলে রাতভর হামলা চালিয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের ব্যাপক হামলায় ‘নির্ভুল অস্ত্র’ ব্যবহার করা হয়েছে। মূলত সামরিক ও শিল্প স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে রাশিয়া দাবি করেছে, সামারা অঞ্চলে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। কিয়েভ বলেছে, তারা সেখানে একটি বড় তেল শোধনাগারে আঘাত করেছে। ইউক্রেন আরও জানিয়েছে, পার্শ্ববর্তী সারাতভ অঞ্চলেও আরেকটি রুশ তেল শোধনাগার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোর কয়েক দফার চেষ্টার পরও সেই যুদ্ধ থামেনি।
সীমান্ত অতিক্রম করে ড্রোন হামলা এখন যুদ্ধের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয়েছে। কিয়েভ ধারাবাহিকভাবে রাশিয়ার তেল স্থাপনা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শিল্প স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করছে। আর সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে মস্কো ইউক্রেনের ওপর তাদের আকাশ হামলা বাড়িয়েছে।
