এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের উত্তেজনা ও বিতর্কের রেশ না কাটতেই আজ রোববার (৫ অক্টোবর) নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে ফের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দল। এই ম্যাচকে কেন্দ্র করে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে ভিন্ন মনোভাব দেখা যাচ্ছে। যেখানে ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর এটিকে ‘অন্য যেকোনো ম্যাচের মতোই’ দেখতে চাইছেন, সেখানে পাকিস্তানের অধিনায়ক ফাতিমা সানা পুরনো দিনের বন্ধুত্বের স্মৃতিতে ডুব দিয়েছেন।
এশিয়া কাপের তিনটি ম্যাচে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে ভারতীয় দলের হ্যান্ডশেক না করার বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায়, মেয়েদের এই ম্যাচে হ্যান্ডশেক দেখা যাবে কিনা—তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। সম্প্রচারকারী চ্যানেলে এই ম্যাচ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ভারতের খেলোয়াড়েরা পেশাদারিত্বের ওপর জোর দেন:
হারমানপ্রীত কৌর: ভারতীয় অধিনায়ক বলেন, “আমরা ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখেই বড় হয়েছি। সব সময়ে এই ম্যাচের অংশ হতে চেয়েছি। এই ম্যাচকে অন্য যেকোনো ম্যাচের মতোই দেখি। ক্রিকেটেই নজর থাকে আমাদের।”
স্মৃতি মান্ধানা: তাঁর মতে, এই ম্যাচের পরিবেশ অন্য সব ম্যাচের থেকে আলাদা। তিনি বলেন, “ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পরিবেশ সব সময় খুব হাড্ডাহাড্ডি থাকে। স্টেডিয়াম ভর্তি থাকে। সকাল থেকে যাদের সঙ্গে দেখা হয় সকলেই জেতার অনুরোধ করে। এই পরিবেশ নিজের সেরাটা বের করে আনতে সাহায্য করে। আমি এবং সতীর্থরা সেটা উপভোগ করি।”
আবিষ্কার সালভি (বোলিং কোচ): তিনি নিশ্চিত করেছেন যে দলের পক্ষ থেকে ক্রিকেটারদের আবেগ না দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সালভির কথায়, “ক্রিকেটে নজর দেওয়া সবার আগে দরকার। আমরা চাই মেয়েরা নিজেদের সেরাটা বের করে আনুক। এটাকে অন্য ম্যাচের মতোই দেখছি। বিশ্বকাপ খুব লম্বা। আরও অনেক ম্যাচ রয়েছে।”
পাকিস্তানের অধিনায়ক ফাতিমা সানা অবশ্য এতটাও গুরুগম্ভীর হিসাবে দেখছেন না এই ম্যাচকে। তিনি দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে পুরনো দিনের বন্ধুত্বের কথা তুলে ধরেছেন। সানা বলেন, “বাকি সব দলের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুব ভাল। আমরা সবার সঙ্গেই সম্পর্ক ভাল রাখার চেষ্টা করি। ক্রিকেটীয় সংস্কৃতি সব রকম ভাবে মেনেই খেলার চেষ্টা করব।”
দুই দলের খেলোয়াড়দের এমন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি সত্ত্বেও, বিশ্বকাপের মঞ্চে এই মহারণ যে আরও একবার ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য তুমুল উত্তেজনা নিয়ে আসবে—তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
